প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর সেনবাগ বাজারের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর রাজারামপুর এলাকায় বাজার সংলগ্ন সরকারি খাল অবৈধ ভাবে দখল করার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে । গতকাল উপজেলার সেনবাগ বাজারের উপর মার্কেটের জন্য খালের গতিপথ বন্ধ করে জরিপ করতে দেখা যায়। জবর দখল করে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ পাল্টিয়ে মসজিদ দেওয়ার নাম করে দালান ঘর নির্মাণ কাজ করার পায়তারা করছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, পুরো খালের মধ্যে বাজারের ময়লা পলিথিন আর্বজনা ফেলার কারণে পানি চলাচলে মারাত্বক ভাবে বিঘ্ন ঘটে । বর্ষার সময় ছাড়া ফসল করতেও চরম বিপাকে পড়তে হয় কৃষকদের। এছাড়া, খালের উপর দিয়ে মার্কেটের জন্য রাস্তা অপসারণ না করলে সামনের বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকা জুড়ে মারাত্বক জলাবন্ধতা দেখা দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয় লোকজন। এর মধ্যে মসজিদের নাম করে খালের উপর ভবন নির্মাণ করলে মরার উপর খাড়ার গার মত হবে। মসজিদ নির্মাণ ধর্মীয় ভাবে ভালো কাজ হলেও একটি মহল এটির নাম ব্যবহার করে দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাপর উল্ল্যাহ খান বলেন,সেনবাগ থানার ৭ নং মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর রাজারাম পুর সাবেক ৪২০ নং বর্তমান ৭৯ নং মৌজার ৪২০০ নং দাগের আমাদের দক্ষিনে খাল। এখানে কিছু কুচক্রী মহল খালের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা করার জন্য পায়তারা করতেছে। গত সরকারের আমলেও একটি মহল এই খালের মধ্যে মার্কেট করেছিল। যা ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তখনকার আমলে নোয়াখালী ডিসির নির্দেশে সিএমপি মার্কেট ভেঙে বেশ কয়েকটি দোকানপাট উচ্ছেদ করেন। বর্তমানে একই চক্র বর্তমান রাজনৈতিক রূপ ধারন করে আবার দখলের পায়তারা করতেছে। এই খালটা দ্রুত সংস্থার করলে অত্র এলাকার জনগণের স্থায়ী পানি নিষ্কাশনের সমস্যার সমাধান হবে। কারন বর্তমানে খালটি বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনের সময় স্থানীয় এলাকাবাসি জানান,উপজেলার সেনবাগ বাজার সংলগ্ন সরকারি খালের পুরো অংশ জবর দখল করে গত ২১ জানুয়ারি স্থানীয় প্রভবশালীরা জরিপ করে। যে ভবন অবৈধ ছিল বিদায় ২০১৯ সালে ভেঙে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, সেটি এখন কিভাবে বৈধ হয় এটি নিয়ে প্রশ্ন এলাকাবাসীর। বিষয়টি এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে বলে জানান এলাকাবাসী।
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হালিম সালেহী বলেন, এই খালটি আগেও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এখনও খালের উপর কোন স্থাপনা হলে আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত করা হবে। সংস্কারের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহি উদ্দিন জানান,খাল দখল করার সুযোগ নেই। কেউ দখল করে থাকলে তার বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাল সংস্কারের জন্য কতৃপক্ষের নিকট বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার করা হবে।